বিষ্ণু ও বৈষ্ণবধর্ম: পুরাণ, দর্শন ও বাংলার ভক্তি আন্দোলন
বিষ্ণু হিন্দুধর্মের অন্যতম প্রধান দেবতা, যিনি সৃষ্টির রক্ষক ও ধারক হিসেবে পূজিত হন। ঋগ্বেদ, মহাভারত ও পুরাণসমূহে তাঁকে সৃষ্টির পরিপালক এবং নৈতিকতার প্রতীক হিসেবে বর্ণনা করা হয়েছে। বিশ্বাস করা হয়, মানবজাতিকে রক্ষার জন্য বিষ্ণু দশ বার দশটি ভিন্ন রূপে পৃথিবীতে অবতীর্ণ হন, যেগুলো ‘দশাবতার’ নামে পরিচিত।
বিষ্ণু-ভক্তদের ধর্মীয় ধারা ‘বৈষ্ণবধর্ম’ নামে পরিচিত। এটি হিন্দুধর্মের একটি গুরুত্বপূর্ণ শাখা, যা তাঁর পূজা ও দর্শনের উপর ভিত্তি করে গড়ে উঠেছে। বাংলায় এ ধারার একটি শক্তিশালী রূপ ‘গৌড়ীয় বৈষ্ণবধর্ম’ হিসেবে পরিচিত, যা ১৬ শতাব্দীতে শ্রীচৈতন্য মহাপ্রভু প্রবর্তন করেন। বিষ্ণুর প্রভাব ধর্মচর্চার গণ্ডি ছাড়িয়ে সাহিত্য, চিত্রকলা, ভাস্কর্য ও মন্দির স্থাপত্যেও সুস্পষ্টভাবে পরিলক্ষিত।
— মোঃ শাহীন আলম, ঐতিহ্য-গবেষক ও লেখক
Image: Vishnu, Period: Circa 10th – 11th Century CE (?), Mainamati Museum, Department of Archaeology, Cumilla, Bangladesh.