বায়ুর নিম্নচাপ ও উচ্চচাপ

নিম্নচাপ [Low-Pressure] শব্দের সাধারণ অর্থ হল ‘কম চাপ’। আবহাওয়া জলবায়ু বিদ্যায় নিম্নচাপ বলতে যে কোন এলাকায় বায়ুর চাপ কম থাকা অবস্থাকে বুঝায়। আবার এ নিম্ন চাপকে ইংরেজিতে ডিপ্রেশনও (depression) বলা হয়ে থাকে। সাধারণত শীতল বায়ুপুঞ্জ উষ্ণ বায়ুপুঞ্জের সাথে মিলিত হয়ে প্রচণ্ড ঘুর্ণনের সূত্রপাত হলে আবহাওয়ায় নিম্নচাপের সৃষ্টি হয়। অঞ্চল ও পরিবেশভেদে নিম্নচাপের আকার বড়-ছোট এবং বিস্তৃতি বিভিন্ন হতে পারে। খুব ছোট আকারের নিম্নচাপের বিস্তৃতি প্রায় ১৫০ বর্গ কিলোমিটার। বড় আকারের নিম্নচাপের বিস্তৃতি ৩০০ থেকে ৫০০ বর্গ কিলোমিটার পর্যন্তও হতে পারে। বড় আকারের নিম্নচাপের গতিবেগ ঘণ্টায় ৮০০ থেকে ১০০০ কিলোমিটার পর্যন্ত হতে পারে। 

নিম্নচাপ সাধারণত নাতিশীতোষ্ণ (temperate) অঞ্চলে বেশি দেখা যায়। মূলত: নিম্নচাপের বিস্তৃতি এবং গতিবেগ উভয়ই নির্ভর করে সংশ্লিষ্ট অঞ্চলের রোদের তাপ, তাপের সময়ের ব্যাপ্তি এবং তাপের তীব্রতার উপরে। একই সাথে নিম্নচাপের তীব্রতা নির্ভর করে সে নিম্নচাপটি কতদিন ধরে বায়ুমণ্ডলে অবস্থান করে চূড়ান্ত রূপ লাভ করে।

উচ্চচাপ [High-Pressure] শব্দের সাধারণ অর্থ হল ‘বেশি চাপ’। উচ্চচাপ হল নিম্নচাপের বিপরীত অবস্থা। সাধারণত যে কোন বায়ু চাপ কোষের কেন্দ্রে আশেপাশের এলাকার তুলনায় বেশি চাপ থাকলে বায়ুমণ্ডলের উচ্চচাপ বলে। আবার এ উচ্চ চাপকে ইংরেজিতে প্রতীপ ঘূর্ণবাতও (anticyclone) বলা হয়ে থাকে।  [সংকলিত]


সহায়িকা:
১। বাকী, আবদুল, ভুবনকোষ, ২০১৩, সুজনেষু প্রকাশনী, ঢাকা, ‍পৃষ্ঠা ৩৬ ও ১৪৬।


Add a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *