ভর বিচলন | Mass Movement

মধ্যাকর্ষণ শক্তির (gravity) প্রভাবে শিলাস্তূপ, বড় আকারের শিলা, গণ্ডশিলা বা বোল্ডার (boulder), কাঁকর, বালু, কাঁদা, প্রভৃতি ঢাল অনুসারে গড়িয়ে নিচে এসে সঞ্চিত হলে তাকে ভর বিচলন [Mass Movement] বলে। অর্থাৎ সূর্যতাপ, বৃষ্টিপাত, বায়ুপ্রবাহ, হিমবাহ, মধ্যাকর্ষণ, প্রভৃতি বিভিন্ন প্রাকৃতিক শক্তির প্রভাবে ভূত্বকের উপরিভাগের শিলা ভেঙ্গে চূর্ণ বিচূর্ণ হয় কিংবা বিচূর্ণীভবনের মাধ্যমে ভূত্বকের উপরিভাগের শিলার বিকার সাধিত হয়। এর ফলে সৃষ্ট বিভিন্ন আকারের শিলাখণ্ড (বোল্ডার (boulder), কাঁকর, বালু, কাঁদা, প্রভৃতি) মধ্যাকর্ষণের টানে ধীরে ধীরে স্থানান্তরিত হয়ে ভূমির ঢাল বেয়ে নিচে নেমে আসে। আর ভূত্বকের উপরিভাগের শিলা স্থানান্তরিত হয়ে ভূমির ঢাল বেয়ে নিচে নেমে আসার এ প্রক্রিয়াটিকে ভর বিচলন বলা হয়। নিম্নে ভর বিচলন সম্পর্কে ভূবিজ্ঞানীদের প্রদত্ত সংজ্ঞা তুলে ধরা হল:

“The collective term for gravitational or downslope movements of weathered rock debris is mass wasting.” – A.L. Bloom, 1978.

“Mass movement is the detachment and downslope transport of soil and rock material under the influence of gravity.” – R.J. Chorley, et. al, 1985.

” If we look at the aforesaid two definitions of R.J. Chorley et. and A.L. Bloom it appears that the term mass movement is more sound and appropriate than mass wasting to describe enblock downslope transport of weathered materials ranging from very fine (soils) to very coarse and larze sized rock materials (boulders). – Dr. Savindra Singh, 2009.

উপর্যুক্ত সংজ্ঞা থেকে প্রতীয়মান হয় যে, ভূমিরূপ পরিবর্তনের ক্ষেত্রে মধ্যাকর্ষণ শক্তির (gravity) প্রভাবে বিভিন্ন আকারের শিলা, গণ্ডশিলা বা বোল্ডার (boulder), কাঁকর, বালু, কাঁদা, প্রভৃতি ঢাল অনুসারে গড়িয়ে নিচে এসে সঞ্চিত হওয়াকে ভর বিচলন বা mass movement বলাই সমীচিন হতে পারে। যেহেতু  movement এর আভিধানিক অর্থ বিচলন, চলন, গমন, চলাফেরা, নড়াচড়া, প্রভৃতি এবং waste এর আভিধানিক অর্থ অপচয়, অপব্যয়, অবক্ষয়, নাশ, ধ্বংস, প্রভৃতি ও wasting এর আভিধানিক অর্থ ক্ষয়, নাশী, নাশক, প্রভৃতি। [মো: শাহীন আলম]


ভর বিচলন বলতে কি বুঝায়?


সহায়িকা:  ১. মাহমুদ. কাজী আবুল, ভূগোল কম্প্রিহেনসিভ, ২০০৩, সুজনেষু প্রকাশনী, ঢাকা, পৃষ্ঠা ৬২। ২.  Singh, Savindra, Physical Geography, 2009, Prayag Pustak Bhawan, Allahabad, page 203-204.

Add a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *