সাংস্কৃতিক সম্পদ: বস্তুগত ও অবস্তুগত সাংস্কৃতিক সম্পদ
সামাজিক জীব হিসেবে মানুষ সমাজে বসবাস করে। সমাজে বেঁচে থাকার জন্য মানুষের প্রয়োজনীয় জীবন প্রণালি হল সংস্কৃতি। অপরদিকে সমাজে বেঁচে থাকার জন্য মানুষের যা কিছু প্রয়োজন, সে সব কিছুই হল সম্পদ। তাই মানুষের সংস্কৃতিকে এক ধরনের সম্পদ বলা যায়। আর এ ধরনের সম্পদকে সাংস্কৃতিক সম্পদ (cultural resource) বলা হয়। মানুষের সমাজে দুই ধরনের সংস্কৃতির উপাদান দেখা যায়। এগুলো হল- বস্তুগত ও অবস্তুগত। এ উপাদানগুলোর উপর ভিত্তি করে সাংস্কৃতিক সম্পদও দুই ধরণের। এগুলো হল- বস্তুগত সাংস্কৃতিক সম্পদ ও অবস্তুগত সাংস্কৃতিক সম্পদ।
বস্তুগত সাংস্কৃতিক সম্পদ: মানুষের সৃষ্ট যন্ত্রপাতি, হাতিয়ার, তৈজসপত্র, আসবাবপত্র, ঘর-বাড়ি, অবকাঠামো, পরিবহণ ব্যবস্থা প্রভৃতি সংস্কৃতির উপাদানগুলো হল বস্তুগত সাংস্কৃতিক সম্পদ। এসব সম্পদকে আবার দুই ভাগে ভাগ করা যায়। যেমন-
১. স্থাবর (immovable) বস্তুগত সাংস্কৃতিক সম্পদ (যেমন- ঘর-বাড়ি, অবকাঠামো, পরিবহণ ব্যবস্থা) এবং
২. অস্থাবর (movable) বস্তুগত সাংস্কৃতিক সম্পদ (যেমন- যন্ত্রপাতি, হাতিয়ার, তৈজসপত্র, আসবাবপত্র)।
অবস্তুগত সাংস্কৃতিক সম্পদ: মানুষের ধ্যান-ধারণা, শিক্ষা-দীক্ষা, দক্ষতা, সংগীত, ভাষা, রীতি-নীতি, সামাজিক প্রতিষ্ঠান, মূল্যবোধ, প্রশাসনিক কাঠামো প্রভৃতি সংস্কৃতির উপাদানগুলো হল অবস্তুগত সাংস্কৃতিক সম্পদ। এসব সম্পদকে অস্পৃর্শ্য (intangible) সাংস্কৃতিক সম্পদও বলা হয়।
সম্পদতুল্য এসব বস্তুগত ও অবস্তুগত সংস্কৃতির উপাদান সুপ্রাচীন কাল থেকে আজ পর্যন্ত সমাজে বেঁচে থাকার জন্য মানুষের খুবই প্রয়োজন। [মো. শাহীন আলম]
সহায়িকা: বাকী, আবদুল, ভুবনকোষ, ২০১৩, সুজনেষু প্রকাশনী, ঢাকা, পৃষ্ঠা ৩১২।
সাংস্কৃতিক সম্পদ কাকে বলে ও কত প্রকার?
Follow Us on Our YouTube Channel: GEONATCUL